Thursday, December 6, 2018

৩৮০০ টাকায় সেন্টমার্টিন ভ্রমণগল্প

অনেকেই মনে করেন অন সিজনে সেন্টমার্টিন গেলে অনেক খরচ হবে তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে মাত্র "৩৮০৮" টাকায় ৩ দিন ২ রাতের জন্য আমি এই ভরা মৌসুমে ঘুরে আসলাম নীল সাগরের রাজ্য থেকে।চলুন তাহলে শুরু করা যাক আমার সেন্টমার্টিন ভ্রমণের গল্প। :)



আমি আমার ৭ জন বন্ধু সহ হুট করে প্ল্যান করে ফেলি যে আমরা কোনোধরনের হোটেল এবং শিপ আগে থেকেই বুকিং দেয়া ছাড়াই সেন্টমার্টিন ট্যুর দিবো।যেই ভাবনা সেই কাজ, ২ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখ রাতের ৮ টা টিকিট কেটে ফেলি ঢাকা টু টেকনাফ হানিফের কলাবাগান কাউন্টার থেকে।আমাদের বাস ছাড়ার সময় ছিলো রাত ৬.৩০ মিনিটে।টিকিট প্রাইস ছিলো ৯০০ টাকা।  টিকিট কেটেছিলাম ৪ দিন আগে অর্থাৎ ২৮ নভেম্বরে। তারপর থেকেই দিনক্ষণ গুনা শুরু করি কবে আসবে সেই ২ তারিখ।

অবশেষে সেই কাঙ্খিত ২ তারিখ বিকেলে আমরা ৬ টার মধ্যেই চলে যাই কলাবাগান হানিফ কাউন্টারে। ৬.৪৫ মিনিটে হানিফের যাত্রী পরিবহন এসে আমাদের নিয়ে যায় সায়েদাবাদ বাস কাউন্টারে। সেখানে বড় বাস অপেক্ষা করছিলো আমাদের জন্য। জ্যাম ঠেলে সায়দাবাদ যখন পৌঁছাই তখন ঘড়িতে বাজে ৮.০০ টা। ঠিক ৮.১৫ মিনিটে আমাদের বাস সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ত্যাগ করে। তারপরই শুরু হয় হানিফের উড়াধুরা টান। বাসের সিট,লেগরেস্ট এবং লেগস্পেস সবকিছুই ভালো ছিলো।

যেহেতু ঢাকা টু টেকনাফ প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার জার্নি তাই যাত্রাপথে ২ বার হোটেল বিরতি দেয়। প্রথবার আমাদের দিয়েছিলো কুমিল্লার "নুরজাহান হোটেলে" এবং দ্বিতীয় বার দিয়েছিলো কক্সবাজারের আগে হোটেল "মিডওয়ে ইন" এ। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য বাজেট ট্যুর দেওয়া তাই যাত্রা বিরতির সময় আমরা হোটেলের কিছুই খাই নি। আপনারা বাসা থেকে নুডুলস রান্না করে আনলেই রাতটা আরামে কাটিয়ে দিতে পারবেন বাসের মধ্যে।

হানিফের উড়াধুরা টান দেখতে দেখতে মাত্র ১০ ঘণ্টায় অর্থাৎ সকাল ৬.৩০ মিনিটে টেকনাফ জাহাজ ঘাটে পৌঁছে যাই আমরা এবং শুরু হয় আমাদের ট্যুরের ১ম দিন ।

DAY - 1  :

সকালে বাস থেকে নেমেই আমরা হোটেলে ঢুকি নাস্তা করার জন্য কারণ জাহাজের টিকিট সকাল ৭.৩০ টার আগে দেয় না। আমি ২ টা পরটা,১টা ডাল-ভাজি মিক্সড এবং ১ কাপ চা খাই । আমার নাস্তার বিল আসে ৩৮ টাকা । নাস্তা শেষে আমরা চলে যাই জাহাজ ঘাটে টিকিট কাটার জন্য। ৫৫০ টাকা দিয়ে 'এল.সি.টি কাজল" জাহাজের মেইন ডেকের টিকিট কেটে ফেলি।

                              

সেন্ট মার্টিনের সব জাহাজ যাওয়া এবং আসার টিকিট একসাথে দেয় অর্থাৎ ৫৫০ টাকা হচ্ছে যাওয়া + আসার। টিকিট কাটার সময় অবশ্যই আপনি কবে সেন্টমার্টিন থেকে ব্যাক করবেন ঐটা কাউন্টারে জানিয়ে দিবেন।কোনো কারণে যদি আপনি টিকিটে দেয়া তারিখে ব্যাক করতে না পারেন তাহলেও কোনো সমস্যা নাই। আগে অথবা পরে আপনি এই একই টিকিট দিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে ব্যাক করতে পারবেন। আমাদের জাহাজ ছাড়ার সময় ছিলো সকাল ৯.৩০ মিনিট।

জাহাজ সম্পর্কিত কিছু এক্সট্রা তথ্য জানিয়ে দেই আপনাদের।বাজেট ট্যুর দিলে অবশ্যই মেইন ডেকের টিকিট কাটবেন।কারণ মেইন ডেকের টিকিটের প্রাইস ই সবচেয়ে lowest।  সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার জন্য যেই ৪ টা শীপ বর্তমানে চলাচল করে তার মধ্যে আমাদের জাহাজটাই সবচেয়ে বড় এবং খোলামেলা ছিলো। এছাড়াও আপনি কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ডাইন, কেয়ারি সিন্দাবাদ এই ২ টা জাহাজে টিকিট কাটতে পারেন। ইচ্ছা করলে আপনি "গ্রিন লাইন ওয়াটারবাস" এ করেও যেতে পারেন তবে ভাড়া একটু বেশি পড়বে। তাই আমার মতো বাজেট ট্যুর দিতে হলে চোখ বন্ধ করে মেইন ডেকে টিকিট কেটে ফেলুন।
আর হ্যা আরেকটা কথা, অনেকেই টাকা বাঁচানোর জন্য ট্রলারে যাওয়ার প্ল্যান করেন কিন্তু আমার সাজেশন থাকবে ট্রলারে না যাওয়া কারণ সমুদ্রের ঢেউ যখন ট্রলারকে আঘাত করবে এবং ট্রলার নড়বে আপনার বমি বমি ভাব আসবে এবং মাথা ঘুরাবে আর সেই সাথে তীব্র রোদের কারণে আপনার জার্নিটা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ট্রলার যথাসম্ভব পরিহার করার চেষ্টা করবেন।

জাহাজের টিকিট কাটার পর আমরা বাসের অগ্রীম টিকিট কেটে ফেলি ঢাকায় ব্যাক করার জন্য। টেকনাফের জাহাজ ঘাটেই আপনি পেয়ে যাবেন বাস কাউন্টার গুলো। ৫ তারিখ সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটের টিকিট কেটে ফেলি আবার ৯০০ টাকা দিয়ে।

অবশেষে ৮.৩০ টার দিকে সবাই জাহাজে উঠা শুরু করি এবং ঠিক ৯.০০ টায় আমাদের জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

নাফ নদীর সৌন্দর্য দেখতে শুরু করি আমরা। একপাশে মিয়ানমারের বর্ডার আরেকপাশে টেকনাফের বড় বড় সবুজ পাহাড় এবং মাঝখানে নাফ নদী! কি অপরুপ সৌন্দর্য! 
আড্ডা দিতে দিতে এবং সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে প্রায় ১ ঘণ্টা পর আমরা নাফ নদী থেকে বঙ্গোপোসাগরে প্রবেশ করি। সেন্ট মার্টিনের যত কাছে যেতে থাকি পানির সৌন্দর্য ততই বাড়তে থাকে! পানির যেই একুয়া কালার ঐটা সচক্ষে দেখতে থাকি এবং মুগ্ধ হতে থাকি।

আকাশের রং এবং পানির রং দুইটাই অসাধারন লাগছিলো! এইরকম কিছু দৃশ্য দেখতে দেখতে যাত্রা পথের সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেলো! প্রায় ২.৩০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১১.৩০ এর দিকে আমরা সেন্টমার্টিন জেটিতে পৌঁছাই।

জেটি থেকে নেমে আমরা শুরু করি আমাদের হোটেল খুঁজার মিশন। জেটি থেকে উত্তর দিক বরাবর হাটতে থাকি আমরা। আমাদের টার্গেট ছিলো সমুদ্রের একদম তীর ঘেঁষা রিসোর্ট গুলো। অবশেষে মনের মতো একটা রিসোর্টে পেয়ে যাই যেটা জেটি থেকে মাত্র ১৫ মিনিট হাঁটার দুরুত্বে অবস্থিত ছিলো এবং সমুদ্রের তীর ঘেঁষাও ছিলো। আরো একটা মজার ব্যপার হচ্ছে আমি যেহেতু সবসময় ট্যুরে হোটেল রুমেই থাকি তাই এবার একটু different এক্সপেরিয়েন্সের জন্য রিসোর্টের তাঁবু ভাড়া করি। একটা তাঁবুতে ৪ জন থাকা যায় । তাঁবুর প্লেসটা awesome ছিলো এককথায়। সাগরের দিক থেকে ২৪ ঘন্টা প্রাকৃতিক বাতাস আসছিলো । তাঁবুর ভিতরে কারেন্টের ব্যবস্থাও ছিলো যেটা দিয়ে আপনি মোবাইল চার্জ দেওয়া এবং লাইট জ্বালাতে পারবেন। তাঁবুর ভিতরের,বাইরের এবং সামনের কিছু পিক আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি ।
 
 

একদম বিচের পাশেই এরকম একটা তাঁবু পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। তাঁবুর ভাড়া আমরা দামাদামি করি ১০০০ টাকা পার নাইট হিসেবে ঠিক করি। যেহেতু এক তাঁবুতে ৪ জন থাকা যায় তাই ২ দিনের জন্য আমাদের পার পারসন তাঁবুতে থাকার জন্য খরচ হয় ৫০০ টাকা। সেফটি নিয়ে যদি বলি তাহলে এটা ১০০% সেফ কারণ সবসময় হোটেলের রিসিপশনে মানুষ থাকে এবং রাতের বেলা নাইটগার্ড থাকে রিসোর্টের বাইরে তাই চুরি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। মোবাইল ক্যামেরা ইত্যাদি মূল্যবান জিনিস গোসল করার টাইমে আপনারা চাইলে রিসিপশনে জমা রেখে যেতে পারবেন। আর ওয়াশরুম নিয়েও কোনো সমস্যা ছিলো না কারন রিসিপশনের পাশেই একটা কমন ওয়াশরুম ছিলো যেটা যথেষ্ট পরিষ্কার ছিলো।

আমাদের রিসোর্টের নাম ছিলো "Sea View & Sports"


তাঁবু ঠিক করে ফ্রেশ হয়ে আমরা কিছুক্ষন হ্যামকে শুয়ে সাগরের অপুরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকি। এই ফিলিংসটা আসলে বলে বুঝানো যাবে না। মনে হচ্ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী ব্যাক্তি আমি।
কিছুক্ষন এভাবে কাটানোর পর আমরা  আমাদের রিসোর্টের পাশেই আরেকটা রিসোর্টে যাই লাঞ্চ করার জন্য। লাঞ্চ প্যাকেজ হিসেবে খাই আমরা। প্যাকেজে ছিলো আপনার পছন্দ করা যেকোনো সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই,আনলিমিটেড ভাত,আনলিমিটেড ডাল,আনলিমিটেড ভাজি,আনলিমিটেড আলু ভর্তা । এই প্যাকেজটার মূল্যও দামাদামি করে আমরা ১৫০ টাকায় ঠিক করি। প্রথম দিন আমি সামুদ্রিক মাছের কালেকশন থেকে "ফ্লাইয়িং ফিশ" সিলেক্ট করি।



খাবারের টেস্ট এককথায় অসাধারণ ছিলো। খাবার খাওয়া শেষে আমরা চলে যাই সমুদ্রে দাপাদাপি করার জন্য। প্রায় ২ ঘন্টার মতো দাপাদাপি করে আবার রিসোর্টে ফিরে আসি আমরা। সত্যিই অনেক ভালো লাগছিলো যখন ঢেউ আছড়ে পরছিলো আমার শরীরে ।

রিসোর্টে ফ্রেশ হয়ে আমরা বিকালে পশ্চিম দিক বরাবর হাটতে থাকি। মেইন উদ্দেশ্য ছিলো সূর্যাস্ত দেখা। কি অদ্ভুত সুন্দর ছিলো বিকাল টা ! কারো যদি মন খারাপ থাকে তাহলে এই দৃশ্য ১ সেকেন্ডেই তার মন ভালো করে দিতে বাধ্য।

পশ্চিম পাশের বীচে ঘুরে সন্ধ্যাটা বিচে বসে আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দেই আমরা । ঠান্ডা বাতাস আর হ্যামকে শুয়ে আড্ডা দিতে দিতে কখন যে রাত হয়ে যায় টেরই পাই নি। দুপুরে ভারি খাবার খেয়ে রাতে হালকা কিছু খাওয়ার জন্য সেন্টমার্টিন বাজারে যাই। ২ টা লুচি, ১ টা পরটা আর ১ কাপ চা খেয়ে রাতের ডিনার সেরে ফেলি :D বিল আসে ২৫ টাকা মাত্র। রাতের খাবার শেষ করে আমরা ১১ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পরি যেহেতু সবাই মোটামোটি এইদিন টায়ার্ড ছিলাম এবং খুব ভোরে উঠার প্ল্যান ছিলো পরের দিন। তাই এখানেই আমাদের ট্যুরের ১ম দিনের সমাপ্তি ঘটে।

DAY - 2 :
 
 ভোর ৫.৩০ টায় ঘুম থেকে উঠে পরি আমরা । ভোর যে এত সুন্দর এবং শান্ত হয় তা নিজের চোখে না দেখলে কখনো বুঝতাম না। যখন ঘুম থেকে উঠে সাগরের কাছে যাই তখন নিজের মনের মধ্যে অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করছিলো। সূর্য আস্তে আস্তে তার উপস্থিতি জানাতে লাগলো। সূর্যদয় দেখে আমরা ভোর ৬ টার দিকে চলে যাই সাইকেল ভাড়া করার জন্য কারণ আমাদের আজকের প্ল্যান হচ্ছে "ছেঁড়া দ্বীপ" যাওয়া। প্রতি ঘন্টা ৩০ টাকা হিসেবে সাইকেল ভাড়া করি আমরা। তারপর দ্বীপের মাঝখান দিয়ে পুরা দ্বীপ ঘুরতে ঘুরতে ছেঁড়া দ্বীপের দিকে যেতে থাকি। যতই দ্বীপের ভিতরের দিকে যাচ্ছিলাম ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম এর সৌন্দর্য দেখে।
 পাকা রাস্তায় সাইকেলিং করা সোজা হলেও বেশ খানিকটা পথ বালু ভর্তি ছিলো তাই সাইকেল চালাতে যথেষ্ট কষ্ট হয়েছিলো। সকালে যেহেতু কেউ নাস্তা করি নি তাই ঠিক করলাম ডাব খাবো। যাওয়ার পথে একটা বাসা পেলাম যেখানে গাছ থেকে পেরে ডাব খাওয়াবে বলে অফার করলো।প্রতি পিস ডাব দামাদামি করে ৪০ টাকায় ঠিক করলাম। সেন্টমার্টিনের ডাবের স্বাদ আসলেই অনেক জোস! ডাব ভর্তি মিষ্টি পানি ছিলো যেটা খেয়ে সাইকেল চালানোর জন্য এনার্জি পেয়েছিলাম এবং পেটও ভরেছিলো।

ডাব খেয়ে আমরা আবার ছেঁড়া দ্বীপের দিকে যেতে থাকি। আমরা যাওয়ার সময় "জোয়ার" ছিলো তাই নৌকায় করে খানিকটা রাস্তা পার হওয়া লাগে। নৌকায় জনপ্রতি ভাড়া নেয় ৩০ টাকা সাইকেল সহ ।

নৌকায় পার হয়ে আমরা আবার হাটা শুরু করু ছেঁড়া দ্বীপের উদ্দেশ্যে। প্রায় ২০ মিনিট হাঁটার পর আমরা পৌঁছে যাই ছেঁড়া দ্বিপে। আল্লাহ্‌র সৃষ্টির এক অপরুপ নিদর্শন এই ছেঁড়া দ্বীপ। পুরা দ্বীপটা প্রবাল দিয়ে ঘেরা। বাংলাদেশের সর্বদক্ষিন বিন্দুতে দাঁড়িয়ে থাকার এই অভিজ্ঞতাটা মনে থাকবে আজীবন।



ছেঁড়া দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চোখে পড়ে একজন গোলা বিক্রেতার। প্রচন্ড রোদে অতিষ্ট হয়ে গোলা খাই। ঠান্ডা গোলার টেস্টটা জোস ছিলো :D এরকম একটা জায়গায় এত সুস্বাদু খাবার পাবো ভাবি নাই।

পেট শান্ত হওয়ার পর ছেঁড়া দ্বীপ থেকে রওনা দেই সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে। যাওয়ার সময় "ভাটা" পরে যাওয়ায় হেটে হেটেই পার হয়ে যাই। সাইকেল জমা জমা দিতে দিতে ১২ টা বেজে যায় । ৬ ঘণ্টার সাইকেল ভাড়া আসে ১৮০ টাকা।যেহেতু রাতে আমাদের বারবিকিউ পার্টি করার প্ল্যান ছিলো তাই দুপুরে আমি হালকা খাবার খাই লাঞ্চ হিসেবে। পিয়াজু,লুচি এবং চা খাই। বিল আসে ৪০ টাকা ।

দুপুরে হোটেলে যেয়ে আমরা  রাতের বারবিকিউ করার জন্য হোটেলের লোককে টাকা দেই।৩ পিস পরটা,কোয়ার্টার চিকেন, সালাদ এবং পেপসি সহ পার পারসন খরচ হয় ২২৫ টাকা। হোটেলের লোককে দুপুরেই টাকা দিয়ে দেই যেন তিনি মুরগি কিনে মশলা মাখিয়ে রাখতে পারে। তারপর আমরা হ্যামকে শুয়ে রেস্ট নেই দুপুর বেলা। একটু রেস্ট নিয়ে আবার আমরা পানিতে নামি । পানিতে অনেক মজা করার পর আমরা বিকালের দিকে পুর্ব বিচে হাটতে থাকি। সন্ধ্যার দিকে আমরা বিচে  বসে কাকড়া খাই। পার পিস কাকড়া নেয় ৪০ টাকা। কাকড়া খেয়ে বীচেই আড্ডা এবং ঘুরাঘুরি করি ।

রাতের বেলা তাঁবুর পাশেই ক্যাম্প ফায়ার করি, তারপর বারবিকিউ করা স্টার্ট করি। ভালোই লাগছিলো সাগরের তুমুল বাতাসে বারবিকিউ করতে। প্রায় ৪০ মিনিট পর বারবিকিউ রেডি হয়ে যায়।


বারবিকিউ হওয়ার পর আমরা তাঁবুতে যেয়ে সবাই একসাথে খাই আর আড্ডা দেই। বারবিকিউটা মজার ছিলো এবং স্পাইসি ছিলো। বারবিকিউ খাওয়া শেষে আমরা বীচের পাড়ে বসে চা খাই। চা নিয়েছিলো ১০ টাকা। তারপর রাত ২.৩০ পর্যন্ত  আমরা বিচেই আড্ডা দেই সবাই মিলে। বাতাসের মধ্যে আড্ডা দিতে অনেক ভালো লাগছিলো। আকাশটা ঐদিন অন্যরকম সুন্দর লাগছিলো। সবমিলিয়ে মজাদার একটা রাত ছিলো। আড্ডা দিয়ে তাঁবুতে যেয়ে ঘুমিয়ে পরি।আর এভাবেই শেষ হয় আমাদের ট্যুরের ২য় দিন।

DAY - 3 : আজকে আমাদের ট্যুরের শেষদিন তাই সকালে ৮ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে আমরা ব্যাগ গুছানো শুরু করি।কারণ সকাল ১১ টায় চেকআউট টাইম। ব্যাগ গুছিয়ে আমরা আবার চা খাই সবাই মিলে। আবারো চা র খরচ পরে ১০ টাকা করে। সকালে আর কিছু খাওয়ার ইচ্ছা না থাকায় আমি নাস্তা করি নি। ব্যাগ গুছিয়ে চেকআউট করে আমরা সবাই রিসোর্টের রিসিপশনে ব্যাগ রেখে লাস্ট বারের মতো দ্বীপে ঘুরতে যাই + কেনাকাটা করতে যাই। টুকটাক পারসোনাল কেনাকাটা করে সবাই ১ টার দিকে হোটেলে যাই লাঞ্চ করতে যেখানে প্রথম দিন লাঞ্চ করেছিলাম।

আজকে লাঞ্চের মেন্যু হিসেবে আমরা সিলেক্ট করি কোরাল মাছের ঝোল, শ্যুটকি ভর্তা, ভাত,ডাল,ভাজি। পার পারসন খরচ হয় ১৭০ টাকা। লাঞ্চ শেষে হালকা রেস্ট নিয়ে আমরা ব্যাগ নিয়ে জেটির উদ্দ্যেশে রওনা দেই। জেটিতে পোঁছে জাহাজে উঠে পরি এবং জাহাজ ছাড়ার অপেক্ষা করি। ঠিক দুপুর ৩.০০ টায় আমাদের জাহাজ সেন্টমার্টিন ত্যাগ করে। লাস্ট বারের মতো দ্বীপের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে নেই।

নীল পানির এই রাজ্য ছেড়ে যেতে কষ্ট হচ্ছিলো তবে অভিজ্ঞতার ঝুলি ভর্তি করে এগিয়ে যেতে থাকি টেকনাফের দিকে। টেকনাফ পৌঁছাই ৫.৩০ টার দিকে। আমাদের বাসের টিকিট যেহেতু আগে থেকেই কাটা ছিলো তাই আমরা অপেক্ষা করতে থাকি বাসস্ট্যান্ডে বসে। ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬.৩০ টায় আমাদের বাস টেকনাফ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাস্তায় জ্যাম থাকায় আমরা ঢাকায় পৌঁছাই সকাল ৬ তারিখ সকাল ৭.৩০ টার দিকে। এখানেই শেষ হয় আমাদের ৩ দিন ২ রাতের awesome ট্যুর।


চলুন এবার খরচের হিসাবটা মিলিয়ে ফেলি - (৯০০+৩৮+৫৫০+৯০০+৫০০+১৫০+২৫+৪০+৩০+১৮০+৪০+২২৫+৪০+১০+১০+১৭০) = ৩৮০৮ টাকা

বাজেট ট্যুরের জন্য কিছু টিপস বলে দেই -
  1. সব কিছুর দাম ২ গুন থেকে ৪ গুন পর্যন্ত দাবি করতে পারে তাই অবশ্যই দামাদামি করে নিবেন সব কিছু
  2. হোটেল দেখে শুনে নিবেন আগে থেকে বুক করার প্রয়োজন নেই। 
  3. বাজারের কাছাকাছি হোটেল নিবেন খাবার খেতে সুবিধা হবে
  4. ছেঁড়া দ্বীপে গেলে পায়ে হেঁটে যাবেন। সাইকেল নিলে কষ্ট বাড়বে তবে দ্বীপটা ঘুরে দেখতে পারবেন
  5. কোনো কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই দাম জিজ্ঞেস করে নিবেন
  6. ডিপ টিউবওয়েলের পানি খেতে পারবেন,কিনে খাওয়ার প্রয়োজন নেই
  7. সবসময় ৪ অথবা ৮ এরকম গ্রুপ মেম্বার ফরমেশন নিয়ে যাবেন তাহলে খরচ কম হবে রুম ভাড়ার ক্ষেত্রে

    এই ট্যুরের আরো পিক দেখতে ঘুরে আসতে পারেন আমার প্রোফাইল থেকে - "Saint Martin Adventure"


Wednesday, November 28, 2018

"বিজয়পুর" বিজয়ের গল্প

আজকে আপনাদের শুনাবো কিভাবে মাত্র ৭৭৫ টাকায় আমরা ইন্ডিয়ান বর্ডারের কাছ থেকে ঘুরে আসলাম। চলুন শুরু করি তাহলে :)




কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আমরা ৮ জন বন্ধু যাত্রা শুরু করি নেত্রোকোণা বড় বাজার রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে। ট্রেনের নাম ছিলো "হাওড় এক্সপ্রেস"। ঠিক ১১.৫০ মিনিটে ট্রেন কমলাপুর ত্যাগ করে। ট্রেনের টিকিট পড়েছিলো জনপ্রতি ১৬৫ টাকা। ভোর ৪ টা ৩০মিনিট এ আমরা নেত্রকোনা বড়স্টেশনে পৌঁছে যাই। তখনো ভোরের আলো না ফুটায় আমরা স্টেশনে বসে আড্ডা দিতে থাকি চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে।প্রতি কাপ চা ছিলো ৫ টাকা।

৫.৩০ মিনিটে যখন ভোরের আবছা আলো ফুটতে শুরু করে তখন আমরা শহরের দিকে হাটা শুরু করি। কিছুদুর হাটার পরেই আমরা একটা অটোরিক্সা ভাড়া করি ঢেউটুকুন ঘাটে যাওয়ার জন্য। জনপ্রতি ৫০ টাকা লেগেছিলো।

অটোতে করে যেতে যেতে ভোরের অমায়িক সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে যাই আমরা। সুর্যের আলো এবং ভোরের আবছা কুয়াশা একসাথে মিশে খুব সুন্দর একটা দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো।

রাস্তার অবস্থা বেশিরভাগই ভালো ছিলো কিন্তু ঢেউটুকুন ঘাটের ১/২ কিলোমিটার ভাঙ্গা ছিলো। পথের সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতে আমরা পৌঁছে যাই ঢেউটুকুন ঘাটে। সেখানে আমরা ৫ টাকা দিয়ে নৌকায় করে নদী পার হই।নদী পার হয়ে আমরা যেহেতু সবাই ক্ষুদার্ত ছিলাম তাই নাস্তা করতে একটা হোটেলে ঢুকি। পরটা ডাল ভাজি দিয়ে নাস্তা করে আমাদের জনপ্রতি বিল আসে ১৮ টাকা

এবার দুর্গাপুর যাওয়ার পালা। আবার আমরা একটা অটোরিক্সা ভাড়া করি যেটাতে খরচ হয় জনপ্রতি ৫০ টাকা। দুর্গাপুর যেয়ে আমাদের কংশ নদী পার হতে হবে কারণ কংশ নদী পার হলেই আমরা আমাদের আসল গন্তব্য পেয়ে যাবো। তাই আমরা আবার সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে করতে দুর্গাপুর যেতে থাকি।
দুর্গাপুর যেয়ে আমরা আবার নৌকা ঘাট থেকে জনপ্রতি ৫ টাকা দিয়ে নৌকা পার হই। নদী পার হয়েই আমরা পৌঁছে যাই বিজয়পুরে। এবার সবগুলো স্পট ঘুরে দেখার জন্য অটোরিক্সা রিজার্ভ করার পালা। শুরু হয় দামদামি এবং সবশেষে একটা অটোরিক্সা আমাদের ৮০০ টাকা দিয়ে সবগুলো স্পট ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য রাজি হয়। যেহেতু আমরা ৮ জন ছিলাম তাই আমাদের এখানে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে ভাগে পরে। প্রথমেই আমরা চলে যাই চিনামাটির পাহাড়,সাদামাটির পাহাড়,গোলাপি পাহাড় দেখার জন্য। এই ৩ টা একই জায়গায় অবস্থিত। 
চীনামাটির লেক
চীনা মাটির পাহাড়

গোলাপি পাহাড়

চীনামাটির পাহাড়ের উপর থেকে ভিউ


জায়গাগুলো এত সুন্দর যে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আত্নিক প্রশান্তি পাচ্ছিলাম একটা। বেশ কিছুক্ষন এখানে কাটানর পর আমরা চলে যাই রানিখং মিশন এবং সাধু যোসেফের ধর্মপ্ললী তে। সেখান থেকে ইন্ডিয়ান বর্ডার দেখা যাচ্ছিলো
রানিখং মিশন
তারপর সেখান থেকে আমরা চলে যাই বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে। বিজিবি ক্যাম্প এতো সুন্দর ভাবে সাজানো যা না দেখলে বুঝার উপায় নেই। ্সাধারণত বিজিবি ইন্ডিয়ান বর্ডারের কাছে অর্থাৎ জিরো পয়েন্টে যাওয়ার অনুমতি দেয় না কিন্তু আমরা রিকোয়েস্ট করায় তারা আমাদের জিরো পয়েন্টে যেতে দেয়। জিরো পয়েন্টে যাওয়ার রাস্তা থেকে শুরু করে আশে পাশের ভিউ সবকিছু স্বপ্নের মতো সুন্দর ছিলো। আচ্ছা একটা কথা চিন্তা করুন তো? একপাশে গারো পাহাড়,এক পাশে মেঘালয় এক পাশে আসাম আর মাঝখানে বাংলাদেশে দাড়িয়ে আপনি। কেমন অনুভূতি হবে আপনার? হ্যা,ঠিক এমনটাই অনুভব করেছিলাম আমি জিরোপয়েন্টে দাড়িয়ে।
জিরো পয়েন্ট

বাংলাদেশি বর্ডার রেখা

ঐ দেখা যায় ইন্ডিয়া

জিরো পয়েন্ট ঘুরা শেষে আমরা চলে আসি বিজিবি ক্যাম্পে। বিজিবি ক্যাম্পের সামনেই ছিলো সোমেশ্বরী নদী। সোমেশ্বরী নদীর এই পাড়ে বাংলাদেশ আর ঐ পাড়ে ইন্ডিয়া। মাঝখানে "নো ম্যান্স ল্যান্ড" । এরকম একটা জায়গায় বসে আড্ডা দিতে কার না ভালো লাগবে বলুন? তাই আমরা প্রায় ঘণ্টা খানেক এই জায়গায় শুয়ে আড্ডা দেই।
সোমেশ্বরী নদী

আত্নিক প্রশান্তি

আড্ডা দেওয়া শেষে আমরা গোসল করার জন্য নেমে পড়ি সোমেশ্বরী নদীতে। যেমন পরিষ্কার পানি ঠিক তেমনই ঠান্ডা পানি। পানিতে সব বন্ধুরা মিলে অনেক লাফালাফি এবং দাপাদাপি করি। সৃতি হয়ে থাকবে এই মোমেন্ট টা
সোমেশ্বরী নদীতে গোসল করা

গোসল শেষে ফ্রেশ হয়ে আমরা আবার যেখান থেকে অটোরিক্সা রিজার্ভ করেছিলাম সেখানে চলে যাই। অটোরিক্সার ভাড়া মিটিয়ে আমরা আবার ৫ টাকা দিয়ে নৌকা পার হয়ে দুর্গাপুর চলে যাই । দুপুর হয়ে যাওয়ায় সবারই অনেক ক্ষুদা লাগে তাই দুর্গাপুর বাজারে একটা হোটেলে আমরা লাঞ্চ করতে ঢুকি। দুপুরে লাঞ্চের মেন্যু ছিলো ভাত,ডাল,মুরগীর মাংস,টাকি মাছ ভর্তা। জনপ্রতি খরচ হয় ৭০ টাকা। তারপর সেখান থেকে বের হয়ে আমরা রিক্সা ঠিক করি "কালচারাল একাডেমি" দেখতে যাওয়ার জন্য। রিক্সাভাড়া ছিলো ২৫ টাকা। একটা রিক্সায় দুইজন বসায় আমাদের খরচ হয় জনপ্রতি ১২ টাকা

কালচারাল একাডেমিতে সুসং দুর্গাপুরের ঐতিহ্য,সংস্কৃতি এবং আদিবাসী জাদুঘর ঘুরে দেখি।

কালচারাল একাডেমী জাদুঘর 

এবং এই জাদুঘর ঘুরার মাধ্যমেই আমরা আমাদের দর্শনীয় সকল জায়গা দর্শন সম্পন্ন করি। এবার ঢাকায় ফিরার পালা। যেহেতু নেত্রোকোণা থেকে রাতের বেলা কোনো ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেঁড়ে যায় না এবং নেত্রকোনা থেকে ঢাকার "by road" রাস্তা খুবই খারাপ তাই আমরা ময়মনসিংহ যাবো বলে ঠিক করি। নেত্রোকোনোর জারিয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ গামী ট্রেন ছিলো সন্ধ্যা ৬ টায়। তাই আমরা দেরি না করে আবারো অটোরিক্সায় জারিয়া যাওয়ার জন্য ঠিক করে ফেলি। জনপ্রতি ভাড়া পরে ৩০ টাকা করে। ৫.৩০ টায় আমরা জারিয়া বাজারে পৌঁছে যাই এবং ময়মনসিংহে যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট কাটি জনপ্রতি ২০ টাকা দিয়ে। বলে রাখা ভালো এটা লোকাল ট্রেন তাই আগে বসলে আগে সিট পাবেন এরকম নিয়ম। ৬ টার ট্রেন একঘণ্টা ১০ মিনিট লেট করে ৭.১০ এ আসে এবং জারিয়া ত্যাগ করে ৭.২০ মিনিটে। প্রায় ২ ঘণ্টা ট্রেন জার্নি করে আমরা ময়মনসিংহে পৌঁছাই ৯ টা ১৫ মিনিটে।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে ষ্টেশনে নেমে আমরা অটোতে করে মাসকান্দা বাস স্ট্যান্ডে চলে যাই।জনপ্রতি অটোতে খরচ হয় ১০ টাকা করে। আমাদের এনা পরিবহণ অথবা সৌখিনে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও ২ টার একটা বাসও পায় নি কারণ ওদের লাস্ট ট্রিপ ছিলো ৯,১৫ তে যেটা আমরা পৌঁছানোর পূর্বেই ছেঁড়ে চলে যায়।তাই বাধ্য হয়ে অন্য একটি অপারেটরের ১০.৩০ টার গাড়িতে আমরা টিকিট কাটি। টিকিট মূল্য নিয়েছিলো জনপ্রতি ২২০ টাকা। বাকিটা সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে আর আড্ডা দিতে দিতে কফি খেয়ে কাটিয়ে দেই। কফির মূল্য ছিলো ১০ টাকা। 

ঠিক ১০.৩০ এ আমাদের বাস টার্মিনাল ত্যাগ করে। আমরা ভেবেছিলাম বাস লোকালের মতো যাবে কিন্তু আমাদের অবাক করে দিয়ে বাসটি মাত্র ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে আমাদের মহাখালি নামিয়ে দেয়। অর্থাৎ ১২.৪৫ এ আমরা ঢাকার মহাখালি বাস স্ট্যান্ডে নেমে যাই এবং যার যার বাসায় চলে যাই।

মোটামোটি এইছিলো আমাদের ১ দিনের ডে ট্যুরের কাহিনী।এবার চলুন খরচের হিসাব টা মিলিয়ে ফেলি -
১৬৫+৫+৫০+৫+১৮+৫০+৫+১০০+৫+৭০+১২+৩০+২০+১০+২২০+১০ = ৭৭৫ টাকা ।

এই ট্যুরের আরো ছবি দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এই লিংক থেকে - বিজয়পুর ট্যুর